আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজনীতি এখন করছেন। রাজনৈতিক জীবনে যা অর্জন করেছেন তার সবই এখন ব্যবহার করছেন। তাঁর অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা, জ্ঞান, বুদ্ধি যা কিছু আছে তার সবই এখন ব্যবহার করছেন। তিনি এখন মুক্ত বিহঙ্গের মতো। শেখ হাসিনার হারাবার কিছু নেই। দখলদার ইউনুস গ্যাং ভুল করতে করতে ভুলের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে। খাদের কিনারা থেকে ফেরার আর কোনো উপায় নাই। কিন্তু আওয়ামিলীগ ফিরবেই। ভয়ংকর জেদি মানসিকতা নিয়েই ফিরছে আওয়ামিলীগ!
পাকিস্তান সরকার দুইবার আওয়ামিলীগ নিষিদ্ধ করেছিল। আওয়ামিলীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছিল। প্রথমবার ১৯৬৯ সালে। দ্বিতীয়বার ২৬শে মার্চ ১৯৭১। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই ইয়াহিয়া খান এক বেতার ভাষণে আওয়ামিলীগকে নিষিদ্ধ করে। পাকিস্তান সরকার কিন্তু ১৯৬৭ সালে রবীন্দ্রনাথকেও নিষিদ্ধ করেছিল। বঙ্গবন্ধু ১৯৬৯ সালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুনরায় রবীন্দ্রনাথ চর্চা শুরু করেন।
নিষিদ্ধ আওয়ামিলীগ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। ৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামিলীগ শুধুমাত্র নিরংকুশ জয়লাভ-ই করেনি পুরো পাকিস্তানটা ভেঙে দিয়েছিল। আওয়ামিলীগ এতটা শক্তিশালী যে, পাকিস্তানের মতো একটা দেশ ভেঙে নতুন স্বাধীন দেশ গড়ে ফেলতে পারে। আওয়ামিলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর মনে মস্তিষ্কে পাকিস্তান ভেঙে স্বাধীন বাংলাদেশ করার দুঃসাহসিক স্পিরিট আজও তরতাজা। ৫ আগস্ট সেই স্পিরিটকে আরও শক্তিশালী করেছে। যাদের মধ্যে স্পিরিট ছিল না তারাও রাগে-ক্ষোভে ফোঁসফোঁস করছে। বিশ্বাস হচ্ছে না? যারা আওয়ামিলীগের নেতাকর্মী তাদের বেশিরভাগের মধ্যেই ৫ আগস্ট বেদখল হওয়া বাংলাদেশ পুনরুদ্ধারের স্পৃহা জাগ্রত হয়েছে। যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি তারাও এই স্পিরিট ধারণ করে।
চার প্রজন্মের দল আওয়ামিলীগ। অবৈধ, দখলদার সরকারের নেয়া সব সিদ্ধান্তই অবৈধ। আওয়ামিলীগ নিষিদ্ধ করে দখলদার বাহিনী বাংলাদেশে এক থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। সংসদ নির্বাচন না দেয়া, বার্মাকে করিডোর দেয়া, চট্টগ্রাম বন্দর বিক্রি করা, ভোট ছাড়া ক্ষমতা দখল করে থাকার উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতেই ইউনুস গ্যাং নাটক সাজিয়ে আওয়ামিলীগ নিষিদ্ধ করেছে। আওয়ামিলীগ নিষিদ্ধ করে আওয়ামিলীগের কাজের গতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। যারা আওয়ামিলীগের সমালোচনা করতো, গালিগালাজ করতো তারাও এখন আওয়ামিলীগ সমর্থন করছে। আওয়ামিলীগের পাশে দাঁড়িয়ে গেছে।