আমাদের দাবি রাস্ট্রের প্রতি- সুবিচার, ন্যয় নীতি,সমঅধিকার, জনকল্যাণ ও নাগরিক সেবা সুনিশ্চিত করতে হবে।রাষ্ট্র সবার দরবারে সমান সুযোগ সৃষ্টি নিশ্চিত করতে পারে না বলেই আমাদের আন্দোলন ও বিক্ষোভ-বিরোধ।কিন্তু আমরা নিজেরা কতটুকু নিজেদের পরিবারে সমাজে কর্মক্ষেত্রে সুবিচার সুবিবেচনা ও ন্যায়নীতি নিশ্চিত করতে পারি সেটা কি কখনো দেখি ?যেমন - ১)ডাক্তার তার সকল রোগীকে সমান সময় ও ধৈর্য্য ধারণ করে চিকিৎসা দেন না,রোগী গরীব হলে পাত্তা দেন না কিন্তু পয়সা ওয়ালা কিংবা বড় লোক হলে সময় দিয়ে ধৈর্য্য ধরে চিকিৎসা দেন।২) মাস্টার ক্লাসের সকল শিক্ষার্থীকে সমান নজর দেন না, ভালো ছাত্র হলে বারবার তার দিকে দৃষ্টি দেন।৩)ঈমাম মসজিদের সকল মুসল্লিকে সমান ভাবে খোঁজ খবর নেন না,সন্মান ও গুরুত্ব দেন না ।কমিটির লোক হলে তার কথার দাম দেন,সামনের সারিতে বসানোর চেষ্টা করেন।৪)দোকানদার - সকল কাস্টমারকে সমান চোখে দেখেন না,কম টাকার বাজার সওদা যারা নেয় তাদের বাদ দিয়ে বেশি টাকা খরচ করা কাস্টমারকে অধিক গুরুত্ব দেন।৫) ড্রাইভার- ছেঁড়া ময়লা পোশাক পরা যাত্রীদের জিজ্ঞাসাই করেন না কিন্তু তার পিছনে দামি পোশাক পরা লোকদের জিজ্ঞাসা করেন বারবার কই যাবেন স্যার? সাথে পরিবার থাকলে তো কথাই নাই, নাচোড় বান্দা।৬) চেয়ারম্যান মেম্বার -কর্মী হলে পাশে বসান, কথা শোনেন কিন্তু সাধারণ মানুষ হলে কি কইবা তাড়াতাড়ি কও হাতে সময় নাই ।৭)দাওয়াত-বিয়ে সাদি,পার্টি অনুষ্ঠানে , খানা-মেজবানিতে দাওয়াত পায় নিকটতম আত্মীয় কিংবা স্বজনদের সকল পরিচিত বন্ধুবান্ধব সবাই ।কিন্তু সন্মান ও আতিথেয়তা পায় না সবাই ।গিফট বক্সের সাইজ যত বড়- খোঁজখবর তত বেশি ।এমন কি অনেকে উপহারের নাম না দেখা পর্যন্ত কথাই কয়না।খাওয়ার টেবিলে কাউকে প্লেট ভরে দিচ্ছে কিংবা চাপাচাপি করে জোর করছে বাড়তি কিছু দিতে অথচ অনেক টেবিলে প্লেট খালি-সেই দিকে দেখছেন না।সামনে বসে আছে অনেক মেহমান তাদের সাথে কুশল বিনিময়ের সময় নেই কিন্তু আরেক জন ( ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার কিংবা আইটি কর্মী )কে বারবার ফোন করে ডাকছে। সামনে কালু দাড়িয়ে আছে তারে দেখেনা হোস্ট কিন্তু দরজার বাইরে কে যাওয়া আসা করছে তারে ডাকে।সবাই তো দাওয়াতি মেহমান।এই যদি হয় আমাদের নীতি নৈতিকতা তাহলে কি করে রাস্ট্রের নিকট আরো বেশি কিছু আশা করি আমরা সকলেই।তাই তো বলি, নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের পর রাষ্ট্রের বা অন্যের কাছে স্বীয় অধিকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করি।
লেখক: শাহাব উদ্দিন হামিদী
সমাজ কর্মী,পেনসিলভেনিয়া,
যুক্তরাষ্ট্র।