প্রায় তিন বছর পর টেস্ট খেলতে নেমে দারুণ কিছুর বার্তা দিচ্ছিলেন এনামুল হক বিজয়। সাদমান ইসলামের সঙ্গে লাঞ্চের আগে উপহার দেন ১০৫ রানের ওপেনিং জুটি। তাতে ৩২ ইনিংস পর সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ দেখেছে বাংলাদেশ। কিন্তু বিরতি থেকে ফিরে বেশিক্ষণ থিতু হননি এনামুল। ব্লেসিং মুজারাবানির বলে এলবিডাব্লিউতে ৩৯ রানে কাটা পড়েছেন তিনি। তাতে ভেঙেছে ১১৮ রানের ওপেনিং জুটি।
মুজারাবানির বলের লাইন বুঝতে পারেননি এনামুল। শুরুতে আবেদনে সাড়া দিয়েই আঙুল তুলেছেন আম্পায়ার। এনামুল রিভিউ নিলেও লাভ হয়নি।
১০৫ রানের উদ্বোধনী জুটিতে লাঞ্চ বিরতিতে বাংলাদেশ
জিম্বাবুয়েকে ২২৭ রানে অলআউট করে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনের পুরোটাই কর্তৃত্ব করেছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক। সাদমান ছিলেন তুলনায় বেশি আক্রমণাত্মক। তুলে নিয়েছেন ষষ্ঠ হাফসেঞ্চুরি। অপরাজিত আছেন ৬৬ রানে। প্রায় তিন বছর পর টেস্ট খেলতে নামা এনামুল হক কিছুটা ধীর গতিতে খেলছেন। অপরাজিত আছেন ৩৮ রানে। দুই ওপেনার অবিচ্ছিন্ন থেকে লাঞ্চ বিরতিতে গেছেন। ফলে ৩২ ইনিংস পর সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ দেখেছে বাংলাদেশ। ২০২২ সালে চট্টগ্রামে ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত-জাকির হাসান। তারা তুলেছিলেন ১২৪।
প্রথম সেশন শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১০৫ রান। তারা এখনও পিছিয়ে ১২২ রানে।
দিনের শুরুতে তাইজুলের আঘাতে ২২৭ রানে থামলো জিম্বাবুয়ে
চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন দুই সেশনে দারুণ ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। যার পেছনে ছিলেন নিক ওয়েলচ (৫৪) ও শন উইলিয়ামস (৬৭)। হাফসেঞ্চুরি পেয়েছিলেন দুজনেই। চায়ের বিরতির পর ওয়েলচ রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরে ফিরতেই মোমেন্টাম বদলে দেন নাঈম হাসান ও তাইজুল ইসলাম। শেষ সেশনে তাদের ঘূর্ণি জাদুতে নামে ব্যাটিং ধস। জিম্বাবুয়ের ৭ উইকেট তুলে ম্যাচের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা।
৯ উইকেটে ২২৭ রানে প্রথম দিন শেষ করা জিম্বাবুয়েকে দ্বিতীয় দিন আর দাঁড়াতে দেয়নি বাংলাদেশ। প্রথম বলেই তাইজুল ইসলামের শিকারে পরিণত হন ব্লেসিং মুজারাবানি (২)। তাতে ২২৭ রানে থেমেছে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস।
জিম্বাবুয়ে ইনিংসে ধস নামানোর মঞ্চটা গড়ে দেন নাঈম। ক্রেইগ আরভিন (৫) ও ভোগাতে থাকা শন উইলিয়ামসকে (৬৭) ফিরিয়ে মোমেন্টাম পাইয়ে দেন তিনি। তার পর জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংয়ের লেজ উন্মুক্ত করে দেন তাইজুল। শেষ পর্যন্ত ৬০ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন এই বামহাতি স্পিনার। ৪২ রানে দুটি নিয়েছেন অফস্পিনার নাইম। একটি নিয়েছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।