ষ্টাফ রিপোর্টার (মনোহরগঞ্জ): কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় বিপুলাসার ইউনিয়নের বাজার সংলগ্ন ভোগোই রোডে অবস্থিত মোরশেদ আলম হাউজিং প্রকল্পের মালিক প্রবাসী মোরশেদ আলমের মালিকানাধীন ৬৪ টি ফ্লাট বাসা ও বাড়ি-
ঘর সহ অন্যান্য কৃষি প্রকল্প এবং মৎস্য প্রকল্পে
পৈচাশিক হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ
করেছে একদল চিহ্নিত সশস্ত্র সন্ত্রাসী
দুর্বৃত্তডাকাতদল।
জানা যায় গত ৫ ই আগস্ট সোমবার দুপুরের পর থেকে কয়েক ঘণ্টা ব্যাপী এই পৈচাশিক বর্বরোচিত হামলা লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ। প্রবাসী মোরশেদ আলম বলেন, আমার দীর্ঘদিনের প্রবাস জীবনের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় করে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আয় রোজগারের আশায় একমাত্র অবলম্বন মোরশেদ আলম হাউজিং প্রকল্প তিলে তিলে গড়ে তোলেছি, এই প্রকল্পের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের টাকায় আমার পরিবারের সদস্যদের ভরন পোষন ও ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া সহ সকল প্রকার খরচের যোগান হতো। এছাড়াও গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছি খাদ্য,বস্ত্র,বাসস্থান,শিক্ষা চিকিৎসা সেবা দিয়েছি আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায়। এছাড়াও স্কুল কলেজ মাদ্রাসা মসজিদসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজে আর্থিক সহযোগিতা করেছি মানবতার কল্যাণে সবসময় নিবেদিত ছিলাম।কিন্তু সম্প্রতি সন্ত্রাসীদের ব্যাপক হামলা লুটপাটে আমার এই উন্নয়ন প্রকল্পের সকল সম্পদ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তিনি আরো বলেন এই ফ্লাট বাসা বাড়িগুলোতে ভাড়া থাকতো বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষজন পরিবার পরিজন নিয়ে। তাদের সকল আসবাবপত্র ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট অগ্নি সংযোগ করে জ্বালিয়ে দেয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।
মোরশেদ আলম আরো বলেন, আমার হাউজিং প্রকল্পের অফিস,গেস্ট হাউস সহ অন্যান্য অফিস সমূহ লুটপাট ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।তাই এখন সব হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। বর্তমান সরকার ও প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট আমার আবেদন যাতে আমি আমার ক্ষতিপূরণ সহ পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকার অবলম্বন
ফিরে পাই ও সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমি ও আমার
পরিবারের বেঁচে থাকার অধিকার চাই।সে
সময় নাথের পেটুয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের
কার্যক্রম নাথাকায় অভিযোগ
করতে পারিনি।
পরে বার বার থানায় অভিযোগ দায়ের করতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন বাদী মোর্শেদ আলম যিনি স্হানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিপুলাসার আহম্মদ উল্লা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য এবং এলাকায় সমাজসেবক হিসেবে সুপরিচিত।