ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ২৬ ও ২৭ নভেম্বর দুইদিন ব্যাপী 'লেখা প্রদর্শনীর' আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, ইবি শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
প্রর্দশনীতে তরুণ লেখকদের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত প্রায় শতাধিক লেখা প্রদর্শন করা হয়। এর মধ্যে স্থান পেয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহিদদের নিয়ে লেখাও।
এছাড়াও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সমস্যা ও প্রত্যাশা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের নিকট পৌঁছে দিতে 'মনের জানালা' ও উন্মুক্ত কুইজ প্রতিযোগিতা ও সংগঠনটির দ্বিমাসিক প্রকাশনা ডাকঘরের জন্য উন্মুক্ত লেখা আহ্বানসহ বুদ্ধিবৃত্তিক ও সৃষ্টিশীল কর্মসূচির আয়োজন করেছে সংগঠনটি।
সংগঠনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলাকে বিভিন্ন ধরনের কারুকার্যের মাধ্যমে সাজিয়ে তুলেছেন। এই লেখা প্রদর্শনীকে কেন্দ্র করে বটতলায় উৎসবমুখর পরিবেশে বিরাজ করছে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছেন।
উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন, ডিন কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.আসাদুজ্জামান ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খন্দকার তৌহিদুল আনাম। সংগঠনটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিল।
লেখা প্রদর্শনীর আয়োজন সম্পর্কে সংগঠনটির সভাপতি খায়রুজ্জামান খান সানি বলেন, 'ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও নবীন শিক্ষার্থীদের লেখায় উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে আমাদের এই আয়োজন। আমরা সবসময় বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মাধ্যমে সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করি। শিক্ষার্থীদেরকে বইমুখী করার চেষ্টা করে আসছি। আশা করছি, এই আয়োজনের মাধ্যমে সারা দেশের তরুণ সমাজ বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় আগ্রহী হয়ে উঠবে।'
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ 'তরুণ লেখকদের লেখার প্রশংসা করে বলেন, লেখার মাধ্যমে সমাজের অসঙ্গতিগুলো উঠে আসে। বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টিশীল কাজের প্রর্দশনী বেশি বেশি আয়োজন করতে নির্দেশ দেন শিক্ষার্থীদের। তরুণ লেখকদের সৃষ্টিশীল কাজ যেন আগামীতে আরো বৃদ্ধি পায় সেই প্রত্যাশা করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা লেখালেখি ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পরপর ৪র্থবারের 'বর্ষসেরা' শাখা নির্বাচিত হয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।