প্রকাশ: সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৩:৪৭ পিএম (ভিজিটর : )
সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আগত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত চিকিৎসাধীন ও চিকিৎসা নিতে আসা সবার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য এবং হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম অধিকতর উন্নয়নের লক্ষ্যে ১০টি নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নির্দেশনার একটি হচ্ছে, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতালে প্রবেশ নিষেধ।
গত ১৮ নভেম্বর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপ-সচিব উম্মে হাবিবা স্বাক্ষরিত এমন একটি নির্দেশনা দেশের সব হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা প্রতিপালনে ব্যর্থ হলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। হাসপাতালে আগত আহতদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা দিতে হবে। সব আহত ব্যক্তির চিকিৎসা বিনামূল্যে করতে হবে।
এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে কেউ চিকিৎসায় অসমর্থ হলে ঐ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তির ওষুধের খরচ সরকার বহন করবে। এক্ষেত্রে উপযুক্ত বিল-ভাউচার স্বাস্থ্য অধিদফতরে দাখিল করা হলে তা যাচাই করে পরিশোধ করা হবে।
চিকিৎসাধীন আহতদের মধ্যে কাউকে অধিকতর উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে (দেশে যার চিকিৎসা সম্ভব নয় এবং বিদেশে পাঠানো হলে নিরাময় বা উন্নতি হবে এমন আহতদের) বিদেশে পাঠানোর প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ মোতাবেক উপযুক্ত রেকর্ডপত্রসহ সংশ্লিষ্ট আহত ব্যক্তির আবেদন জরুরিভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে পাঠাতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, হাসপাতালে আগত সব উপযুক্ত দর্শনার্থীদের জন্য ভিজিটর কার্ড প্রবর্তন করতে হবে। ভিজিটর কার্ডবিহীন কোনো দর্শনার্থী হাসপাতালের ভেতরে বা রোগীর কক্ষে প্রবেশ বা অবস্থান করতে পারবেন না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
এছাড়া কোনো ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ বা বিভিন্ন কোম্পানির ডিলার কোনোভাবেই হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রত্যেক চিকিৎসক ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সবাইকে রোগী দেখার সময়সূচি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময়সূচি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
প্রতিটি হাসপাতালে সুশৃঙ্খল চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে হাসপাতালে রিসিপশন ডেস্ক স্থাপন করতে হবে। অভ্যর্থনা কক্ষে আগত রোগীদের রোগের ধরন অনুযায়ী বাছাইপূর্বক নির্ধারিত চিকিৎসকের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়, হাসপাতালে আগত সেবাপ্রার্থীদের টিকিট কেনার বিষয়টি সুশৃঙ্খল করতে হবে। সম্ভাব্য সব হাসপাতালে এ বিষয়ে ডিজিটাল ব্যবস্থার প্রবর্তন করতে হবে। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিবন্ধিত বা সার্টিফায়েড নয় এমন কোনো ব্যক্তি চিকিৎসা দেওয়ার কোনো পর্যায়েই কোনো হাসপাতালে সংযুক্ত থাকতে পারবেন না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।