পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ ২২ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ-১ এর বিচারক আবুল কাশেম মামলায় দায় থেকে তাদের খালাস দেন।
গত বছরের ২০ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালত সোহেল-টুকুসহ ২২ জনকে এ মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন। এরপর তাদের আইনজীবীরা খালাস চেয়ে আপিল করেন। আপিল শুনানি শেষে আজ সোহেল-টুকুসহ ২২ জনকে খালাস দেন আদালত।
হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের আইনজীবী জাকির হোসেন জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হয়ে ফেনী যাওয়ার কথা ছিল। তিনি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গেলে আসামিরা পুলিশের কাজে বাধা দেন। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।
এ ঘটনায় পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন পুলিশ। এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলায় বিভিন্ন সময় পাঁচজন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
গত বছরের ২০ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন।রায়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ ২২ জনের দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা ছিলেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, যুবদলের সভাপতি সুলতাল সালাহ উদ্দিন টুকু, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সেক্রেটারি রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাবেক সেক্রেটারি আকরামুল হাসান মিন্টু, হাবিবুর রশিদ হাবিব ও যুবদল দক্ষিণের সভাপতি এনামুল হক এনাম।